ভূমিকা : পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসের হোসেন মিয়া চরিত্রটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি । একজন সাধারণ মাঝি নিজ চেষ্টায় বড়লোক হয়েও বড়লোকের মত বাবুয়ানি এবং বাহাদুরি না করে সমাজের ভাঙাচোরা মানুষদের জন্য এক শ্রমনির্ভর জনপদ গড়ার স্বপ্নে কী রকম চরিত্র আর পাওয়া যায় না ।
অমানুষিক পরিশ্রম এবং গভীর নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছে তা ভাবলেও বিস্মিত হতে হয় । এ পদ্মানদীর মাঝি যখন প্রকাশিত হয় তখন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় আঠাশ বছরের যুবক ।
তখন দেশের এবং তার পরিবারে কী সঙ্কট তা আমরা তার জীবনী গ্রন্থ থেকে জানতে পারি । ( দ্রঃ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন ও সাহিত্য ) । তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন,
“ মানুষের উপকারের জন্যেই সাহিত্যের সৃষ্টি । প্রচার করে প্রত্যক্ষভাবেই হোক অথবা প্রচার না করে পরোক্ষেই হোক , ঐ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করাই প্রত্যেক কবি , ‘ কথাশিল্পী ‘ , নাট্যকারের একমাত্র ব্রত হওয়া উচিত । যাঁরা সাহিত্যকে জীবনসাধনা বলে বরণ করে নিয়েছেন তাঁরা তো সমাজেরই মানুষ , সকলের মত তাঁরাও তো রাষ্ট্রের নাগরিক । কিন্তু অন্যান্য সকলের সঙ্গে তাঁদের যে পার্থক্য রয়েছে তা দেহে – আকারে নয় , বুদ্ধি মনন আর অনুভূতিতে । সাহিত্যিকরা তাঁদের এই সংবেদনশীল অনুভূতি নিয়ে মানুষকে দেখাবেন , সমাজে গভীর থেকে গভীরতম অন্তঃপুরে প্রবেশ করবেন , সামগ্রিকভাবে দেশ আর দেশের মানুষকে নিজের সংসার আর নিজের আত্মীয় বলে গ্রহণ করে দায়িত্ব নেবেন সাহিত্য সৃষ্টির । ”
( পৃ ১৪৫– গ্রন্থ ঐ )
পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসের হোসেন মিয়া চরিত্র
হোসেন মিয়ার চরিত্র সৃষ্টির মধ্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই আত্মমগ্নতা এবং জীবনসাধনার সার্থক পরিচয় ঘটেছে । এখানেই হোসেন মিয়া চরিত্রসৃষ্টির অনন্যতা । এটি কোন এক ব্যক্তি সৃষ্টি নয় । এর মধ্যে মূর্ত হয়েছে একটি আদর্শবোধ একটি স্বপ্ন চেতনা । এই আত্মমগ্নতা এবং স্বপ্নময়তার জন্যই হয়ত মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় উপন্যাসে লিখেছেন , “ একটু রহস্যময় লোক এই হোসেন মিয়া । ” আর পাঁচজন মানুষের চেয়ে সে একেবারে স্বতন্ত্র । প্রচলিত মাপকাঠি দিয়ে তাকে মাপা যায় না । তার চেহারা , কার্যকলাপ সবই ভিন্ন প্রকৃতির । চেহারা দেখে তার বয়স অনুমান করা যায় না ।
“ পাকা চুলে সে কলপ দেয় , নুরে মেহেদি রঙ লাগায় , কানে আতর মাখানো তুলা গুঁজিয়া রাখে । ”
এর থেকে মনে হয় হোসেন মিয়া একজন সৌখিন মানুষ । উপন্যাসে যখন তার প্রথম আবির্ভাব তখনই সে প্রবীণ মানুষ । কিন্তু সে নিজ চেষ্টায় সেই প্রবীণতাকে ঢেকে রাখে । যা স্বাভাবিক তাকে সে সহজে মেনে নিতে পারে না । সবকিছুকে নিজের মতো করে গড়ে নিতে চায় । এখানে সে একজন কর্মঠ লোক । নিজের ভাগ্যকে নিজেই নিয়ন্ত্রিত করে । পদ্মানদীর মাঝিরা যেখানে অনিশ্চিত প্রকৃতির হাতে নিজেদের সঁপে দিতে বাধ্য হয় , সেখানে হোসেন মিয়া সবকিছুকেই সার্থক করে তোলে ।
আত্মশক্তি , বুদ্ধি ও কল্পনার দ্বারা । তাই মাঝিদের কাছে হোসেন মিয়া এক রহস্যময় ব্যক্তি । তার সম্পর্কে তারা কোন স্পষ্ট ধারণা করতে পারে না । পদ্মাতীরের এক গ্রাম কেতুপুর । গ্রামের বাইরে জেলেপাড়া । জেলেপাড়ার মানুষদের নিয়েই এই উপন্যাস । কুবের মাঝি এই জেলেপাড়ার একজন প্রতিনিধি স্থানীয় চরিত্র । হোসেন মিয়া কেতুপুর নিবাসী হলেও এই গ্রামের সে আদি মানুষ নয় । তার বাড়ি ছিল নোয়াখালি অঞ্চলে । কয়েক বছর আগে সে কেঁতুপুরে এসে বাস করছে ।
“ প্রথম যখন সে কেতুপুরে আসিয়াছিল পরনে ছিল একটা ছেঁড়া লুঙ্গি , মাথায় এক ঝাঁক রুক্ষ্ম চুল – ঘসা দিলে গায়ে খড়ি উঠিত । ”
জেলেপাড়ার জহরের বাড়িতে সে আশ্রয় নিয়েছিল । এই সব সুখের ব্যবস্থা সে যে কী উপায়ে করেছে গ্রামের লোক তা অনুমান করতে পারে না । “ নিত্য নূতন উপায়ে সে অর্থোপার্জন করে । “ রকমারী ব্যবসা হোসেনের ধান , পাট , বিড়ির পাতা , তামাক , গুড় , চিনি , মসলাপাতি , আফিম এবং আরও কত কী !
নানাদিকে কত উপার্জন হোসেনের । এর মধ্যে অসৎ উপায়েও অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা আছে । অর্থ উপার্জন করতে হলে ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় কেবল নীতি বা আদর্শ থাকলে চলে না । নানা ছলে বলে কৌশলে অন্যের পকেট থেকে নিজের পকেটে অর্থ নিয়ে আসার নামই যখন বড়লোক হওয়া তখন হোসেন মিয়া সৎ অসৎ নানা উপায়ে অর্থোপার্জন করবে বৈকি । এমনি করেই হোসেন মিয়াও বড়লোক । তবে টাকাওয়ালা মানুষের সঙ্গে মেশে না হোসেন , তাদের সঙ্গে সে শুধু ব্যবসা করে , মাল দিয়া নেয় টাকা , টাকা দিয়া নেয় মাল । মাঝিরা তাহার বন্ধু । অবসর সময়টা সে পদ্মার দীন দরিদ্র মাঝিদের সঙ্গে গল্প করিয়া কাটাইয়া দেয় , টাকায় ফাঁপানো ব্যাগ পকেটে নিয়া বর্ষার রাত্রে জীর্ণ চালার তলে চাটাইয়ে শুইয়া নির্বিবাদে ঘুমাইয়া পড়ে ।
কেতুপুরে একজন বড়লোক আছে । তিনি মেজোবাবু — অনন্ত তালুকদার । নীচু হয়ে প্রণাম করে জোেড় হাতে কুবের মাঝিদের তার সামনে দাঁড়াতে হয় । একসময় জেলেপাড়ার ঘরে ঘরে মেজবাবুর যাতায়াত ছিল কিন্তু তাতে মাঝিদের বৌ – ঝিদের নিয়ে দুর্নাম রটেছিল । হোসেন মিয়া মেজবাবু নন ।
“ দুর্নীতি , দারিদ্র্য , অন্তহীন সরলতার সঙ্গে নীচু স্তরের চালাকি , অবিশ্বাস ও সন্দেহের সঙ্গে একান্ত নির্ভয় , অন্ধ ধর্মবিশ্বাসের সঙ্গে অধর্মকে অনায়াসে সহিয়া চলা – এ সব যাদের জীবনে একাকার হইয়া আছে , পদ্মার বুকে নৌকা ভাসাইয়া যারা ভাবুক কবি , ডাঙায় যারা গরিব ছোটলোক , মেজবাবু কেন তাদের পাত্তা পাইবেন ? ও কাজ হোসেন মিয়ার মত মানুষের পক্ষে সম্ভব , মেজবাবুর চেয়ে বেশী টাকা রোজগার করিয়াও যার মাঝিত্ব খসিয়া যায় নাই । ”
এখানেই হোসেন মিয়ার বিশেষত্ব । প্রচুর অর্থোপার্জন করেও হোসেন মিয়া সেই অর্থে বড়লোক হয় নি । বেশি টাকা রোজগার করেও হোসেন কুবেরের মত নিজেকে একজন মাঝিই মনে করে । কুবের যখন হোসেন মিয়ার নৌকায় মাঝিগিরি করে তখন হোসেন তাকে কেবল পদ্মা বা মেঘনায় নয় , সমুদ্রের বুকেও কীভাবে মাঝিগিরি করতে হয় তা শিখিয়ে দেয় । এমন কি কুবের যখন মেঘলা আকাশ দেখে রথের মেলায় যেতে ইতস্তত করছিল তখনো হোসেন বলেছিল ,
“ যাবা না ক্যান ? ডর কিসের ? আসমান দেইখা রওনা দিবা , আসমান দেইখা ফিরবা । বাদলা দিনের ঝড় জানান দিয়া আহে । ”
তারপর ময়নাদ্বীপ যাবার সময় কুবের দিকচিহ্নহীন সমুদ্রের বুকে হোসেন মিয়ার নৌকা পরিচালনা দেখেই বুঝেছিল হোসেন মিয়া কত বড় দক্ষ নাবিক । সামনে একটা কম্পাস আর ম্যাপ রেখে হোসেন নৌকার হাল ধরে । বসল আর ছয়জন মাঝি টানতে লাগল নৌকার দাঁড় । হোসেন ওদের কাছে নিজের সমুদ্রে যাত্রার কাহিনী বলে । একবার কুয়াশার মধ্যে সে সমুদ্রের বুকে হারিয়ে গিয়েছিল । পানীয় জল ফুরিয়ে যাওয়ায় শেষের তিনদিন তৃষ্ণায় তাদের ছাতি ফেটে গিয়েছিল । তারপর হোসেন কম্পাস কিনেছে , তারা দেখে নৌকার অবস্থান নির্ণয়ের যন্ত্র কিনেছে । একসময় হোসেন চাটগাঁয়ে জাহাজে কাজ করত , খালাসীর কাজ করতে করতে শেষ পর্যন্ত একটা মালবাহী স্টীমারের বো সান পর্যন্ত হয়েছিল । সেই সময় এক সাহেব কাপ্তেনের কাছে সে এসব যন্ত্রের ব্যবহার শিখেছে । এখন সে বড় বড় জাহাজ চালিয়ে পৃথিবী ঘুরে আসতে পারে ।
কুড়ি বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে অর্ধেক জীবন তো সে নদীর বুকে এবং সমুদ্রে কাটিয়েছে ।
“ বড় অমায়িক ব্যবহার হোসেনের । লালচে রঙের দাড়ির ফাঁকে সব সময়েই সে মিষ্টি করিয়াই হাসে । যে শত্রু , যে তাহার ক্ষতি করে , শাস্তি সে তাহাকে নির্মমভাবেই দেয় কিন্তু তাহাকে কেহ কোনদিন রাগ করিতে দেখিয়াছে বলিয়া স্মরণ করিতে পারে না । ধনী দরিদ্র , ভদ্র অভদ্রের পার্থক্য তার কাছে নাই , সকলের সঙ্গে তার সমান মৃদু ও মিঠা কথা । ”
এই উপন্যাসে তার শত্রুর দেখা আমরা পাইনি । ধনী ভদ্রের সঙ্গে ব্যবহারও আমরা দেখিনি কিন্তু মাঝে মাঝে সে জেলে পাড়ায় যাতায়াত করে । এদের ভাঙা কুটীরের দাওয়ায় ছেঁড়া চাটাই – এ বসে দা – কাটা কড়া তামাক টানে । জেলে পাড়ার
“ অর্ধ উলঙ্গ নোংরা মানুষগুলির জন্য বুকে যেন তাহার ভালবাসা আছে । উপরে উঠিয়া গিয়াও ইহাদের আকর্ষণে নিজেকে সে যেন টানিয়া নীচে নামাইয়া আনে । ”
তাদের সঙ্গে ব্যবহারে হোসেন মিয়ার যে কোন কপটতা আছে তা এই গরীব মানুষগুলো ধরতে পারে না । হোসেন মিয়া যা ঘটায় তা সমস্তই স্বাভাবিক এবং অবশ্যম্ভাবী । তবে হোসেন মিয়ার গোপন মতলবের দু – একটা খবর জেলেপাড়ার লোকেরা রাখে । জানা গিয়েছে , নোয়াখালির ওদিকে সমুদ্রের মধ্যে ছোট দ্বীপে প্রজা বসিয়ে সে নাকি জমিদারি পত্তন করছে । কিছু কিছু জঙ্গল সাফ করে এই দ্বীপে হোসেন মিয়া ঋণগ্রস্ত উপবাসখিন্ন ভাঙাচোরা পরিবারদের উপনিবেশ স্থাপন করছে ।
কেতুপুরের জেলেপাড়ার তিনঘর মাঝিকে সে আদিম অসভ্যযুগের চাষায় পরিণত করেছে সে খবর কারুর অজানা নেই । তার মধ্যে মাত্র একঘরের কথাই উপন্যাসে আছে । সেই ঘর রাসুর । রাসু অবশেষে সেই দ্বীপে তার স্ত্রী দুই পুত্র ও এক কন্যাকে হারিয়ে পালিয়ে কেতুপরে ফিরে এসেছে ।
“ রাসুর মাথায় বড় বড় চুল জট বাঁধিয়া গিয়াছে , সর্বাঙ্গে অনেকগুলি ক্ষতের চিহ্ন , কয়েকটা ঘা এখনও ভাল করিয়া শুকায় নাই । ”
এই দ্বীপের নাম ময়নাদ্বীপ । পরে কুবেরের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় এই ময়নাদ্বীপ সম্পর্কে সব ভুল ধারণার অবসান হয়েছে । এই ময়নাদ্বীপ আসলে হোসেন মিয়ার একটি স্বপ্নদ্বীপ । নিজে অনেক কষ্ট করে পয়সার মুখ দেখেছে , বিত্তবান হয়েছে । কিন্তু তাহলেও অন্য কোন বড়লোকদের সঙ্গে তার কোন ওঠা বসা নেই , আত্মীয়তা নেই । তাদের সঙ্গে হোসেন মিয়ার শুধু টাকার সম্পর্ক । তার আসল সম্পর্ক জেলে মাঝিদের সঙ্গে । এরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও নানাভাবে বঞ্চিত এবং প্রতারিত হয় । এরা এদের পরিশ্রমের ন্যায্যমূল্য পায় না । এদের দুঃখবেদনাই হয়ত হোসেনকে বিচলিত করেছে ।
সে জনবসতিহীন একটি দ্বীপ কিনে সেখানে শ্রমজীবী মানুষের নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে । তার জন্য সে তাদের জমি দিচ্ছে , ঘর তৈরি করে দিচ্ছে , যতদিন তারা স্বাবলম্বী না হচ্ছে ততদিন সে বহুদূর থেকে তাদের প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী যোগান দিচ্ছে । বিনিময়ে তার একটাই শুধু প্রত্যাশা এরা পরিশ্রম করে দ্বীপের জঙ্গল সাফ করে চাষ আবাদ । করে এখানে নতুন বসতি গড়ে তুলুক । তার চেয়েও বড় কথা তাদের সন্তান সন্ততির মধ্যে এই দ্বীপে একটা নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠবে যাদের কোন জাতি ভেদ বা ধর্মভেদ নেই । তাদের একটাই পরিচয় তারা সকলেই পরিশ্রমী মানুষ । সেজন্য সে যেখানে ভাঙাচোরা বিপদগ্রপ্ত মানুষের সন্ধান পায় সেখান থেকে তাদের নিয়ে গিয়ে ময়নাদ্বীপে বসিয়ে দেয় । কুবেরের মেয়ে গোপীর সঙ্গে বন্ধুর বিয়ে দিয়ে তাদের ময়নাদ্বীপে নিয়ে যাবে । কুবের কপিলাও ময়নাদ্বীপে চলে যায় । পরে কুবেরের স্ত্রী পুত্র সকলকেই হোসেন মিয়া ময়নাদ্বীপে পাঠিয়ে দেবে । কুবেরের কাছে ময়নাদ্বীপ আর আতঙ্কের জায়গা নয় । হোসেন জবরদস্ত কাউকে ময়নাদ্বীপে নিয়ে যায়নি । সবাই আপন খুশিতেই গিয়েছে । হোসেন মিয়া বিত্তবান মানুষ হলেও সে আসলে মাঝি । এটাই তার প্রধান পরিচয় ।
শেষকথা : প্রচুর অর্থোপার্জন করেও হোসেনের মাঝিত্ব কখনো খসে যায় নি । তাই হোসেন মিয়া এই উপন্যাসে কুবেরদের বারবার বলেছে , “ জ্ঞান দিয়া তোমাগো দরদ করি । ” সেই দরদের বহু পরিচয় উপন্যাসের মধ্যে আছে । কুবেরের ঘরের চালে খড় নেই । দেখতে পেয়ে হোসেন মিয়া নিজেই কুবেরকে খড় দেয় । আশ্বিনের প্রবল ঝড়ে জেলেপাড়ার অধিকাংশ গ্রামের ঘর বাড়ি পড়ে গেলে হোসেন নিজেই এগিয়ে আসে তাদের সাহায্যে । প্রচুর অর্থোপার্জন করতে পারে আবার গরীব মানুষদের জন্য ময়নাদ্বীপ নামে একটি জনবসতি গড়ে তুলতে পারে । অসম্ভব তার মনের জোর । সব দিক দিয়েই হোসেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক অপূর্ব সৃষ্টি ।
[…] পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসের হোসেন মিয়া… […]